এরই মধ্যে দেশটির পবিত্র দুটি মসজিদ মক্কার মসজিদ আল–হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজ ও ইফতার নিয়ে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। আগের মতোই সেখানে শুরু হয়েছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।
মহামারি করোনায় যখন বিপর্যস্ত বিশ্ব; তখন অন্য দেশের মতো এর প্রভাব পড়তে শুরু করে সৌদি আরবেও। একে একে আসতে থাকে বিধিনিষেধ। কঠোর নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায় মানুষের সঙ্গে মানুষের সাক্ষাৎ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব জায়গাতেই অনেক মানুষের এক সঙ্গে হওয়ার ওপর দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এমন অবস্থাতেই পবিত্র রমজান মাস পাস করতে হয়েছে সবাইকে। তারাবির নামাজ কিংবা ঈদের নামাজেও ছিল এই নিয়ম। তবে এবার স্বস্তি ফিরেছে। দুই বছর পর সৌদিতে বিধিনিষেধ মুক্ত রোজা শুরু হয়েছে।
আরব নিউজের তথ্যানুযায়ী, শাবান মাস শেষে স্থানীয় সময় শনিবার সৌদিতে রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমজান মাসের প্রথম দিন মানুষ যথাযথভাবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রোজা রাখছে। বাড়ি, বাড়ির বাইরে, মসজিদে সব জায়গাতেই এখন রোজার পরিবেশ।
এরই মধ্যে দেশটির পবিত্র দুটি মসজিদ মক্কার মসজিদ আল–হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজ ও ইফতার নিয়ে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। আগের মতোই সেখানে শুরু হয়েছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণা হতে থাকে দেশে দেশে। সৌদিতেও ঘোষণা করা হয় কঠোর লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব মানতে নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ভ্রমণের ওপরও।
আস্তে আস্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকায় দীর্ঘ দুই বছর পর এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় সৌদিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরতে শুরু করে। রমজানেও সেই স্বস্তি অব্যাহত রয়েছে।
এবার সৌদিতে যেভাবে বিধিমুক্ত রমজান পালন করা হচ্ছে, এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩ জুন ছিল সে রকম স্বাভাবিক পরিস্থিতি। ২০২০ সালের ২ মার্চ প্রথম দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়।
চলতি বছরের ৬ মার্চ দেশজুড়ে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয় সৌদি সরকার। বাধা কাটে মসজিদসহ যে কোনো স্থানে প্রবেশেও।
পাঠকের মতামত